রাজপুত্র প্রদীপকুমার
বুদ্ধদেব বসু
আজকেউ কোনােদিন দেখেনি। জ অগ্নিদ্বীপের রাজপুত্রের বিয়ে। সমস্ত রাজ্যে তাই উৎসব, এমন পাত্রী মরকতপুরের রাজকন্যা মণিমালা! আহা—কতার রূপ। যেন আগুনের
ফুল, যেন তারা দিয়ে গড়া মূর্তি। চোখ ঝলসে যায়।
আর রাজপুত্র প্রপীপকুমার? বীরের হাতের ঝকঝকে তলােয়ারের মত তার শরীরটি। বয়স তার অল্পই, কিন্তু বিদ্যায় বীরত্বে এর মধ্যেই তিনি অদ্বিতীয় হয়ে উঠেছেন। এতদিনে এলাে সেই পরম শুভদিন।
ভিড় করে দাঁড়িয়েছে সব পথের দু'ধারে, এখনই শােভাযাত্রা করে রাজপুত্র
নগর দেখতে বেরােবেন। সমস্ত প্রজারা চোখ ভ'রে তাকে দেখবে আজ, প্রাণ =
আশীর্বাদ করবে।
দুশাে হাতি এলাে গম্ভীর পা ফেলে, পাঁচশাে ঘােড়া গেলাে টগবণি, রাজবাড়ির মেয়েরা গেলেন রঙের ঢেউ তুলে, তারপর সকলের শেষে আটটা ধবধে
নাদা ঘােড়ায় টানা গাড়িতে এলেন রাজপুত্র।
একদিকে তার বুড়াে মন্ত্রীমশাই, অন্যদিকে
সেনাপতি শার্দুল বিক্রম। আহা কি সুন্দর উজ্জ্বল কোমল মুখশ্রী। বড়াে-বড়াে রাস্তাগুলাে ঘুরে শােভাযাত্রার ফিরে যাবার কথা কিন্তু বকুল কুঞ্জের ধারে এসে প্রাসাদের দিকে যখন গাড়ি ঘুরছে, তখন প্রদীপকুমার বললেন,
নগর তাে দেখাই হল না।
মন্ত্রীমশাই বললেন, "সবই তাে দেখা হলাে রাজপুত্র। চতুরঙ্গ পথ, মধুবনানী,
পণ্যবিথিকা, ক্রীড়াকানন তারপর
রাজপুত্র বললেন, ছেলেবেলা থেকে এ-সমস্ত জায়গা কতবারই তো দেখেছি। কোনদিন আর কিছু দেখিনি।
আজ আমি সমস্ত শহর দেখতে চাই যেখানে প্রজারা থাকে।
সেখানে কিছু দেখার নেই।
যা আছে তা-ই দেখবাে। নিয়ে চলুন আমাকে সেখানে।
একটা চলন্ত পাহাড়ের মত অতি সংকীর্ণ গলিতে এসে ঢুকলাে আট ঘােড়ার গাড়ি। আস্তে পা ফেলে-ফেলে ঘােড়গুলি চলছে; ছােট্ট গায়ে গা-লাগা বাড়িগুলাের জানালায়-জানালায় কত ভীরু চোখের অগাধ কৌতূহল।
প্রদীপকুমার বলে উঠলেন, এ কী! আমার সমস্ত রাজ্য এত সুন্দর, আর এ-সব জায়গা এত কুৎসিত কেন? মন্ত্রী বললেন, রাজপুত্র এখানে যে গরীবেরা থাকে। এর বেশী তারা কোথায়
পাবে?
এখানে যে নিঃশ্বাস নেওয়া যায় না। মানুষ এখানে বাঁচে কেমন করে? গলিঘুজি পার হয়ে গাড়ি প্রায় বেরিয়ে এসেছে, এমন সময় হাওয়ায় জড়ানাে সেই মধুর সুর ছাপিয়ে আর একটা করুণ শব্দ রাজপুত্রের কানে পৌঁছলাে। বনের গভীর নির্জনতায় হঠাৎ তীর খাওয়া হরিণের মত চমকে উঠলেন তিনি। এ কী! এ যে কান্না।
কে কাদে? আজকের দিনে কে কাদে?
রাজপুত্র বলে উঠলেন, ‘কে কে ওখানে?” অমনি ছুটলাে দশজন সেপাই হৈ-চৈ করে খানিক পরে ধরে নিয়ে এলাে যাকে, তাকে দেখে রাজপুত্রের মুখ দিয়ে একটা অস্ফুট আতঙ্কের শব্দ বেরুলাে। উঃ
মানুষের এমন মূর্তি হয়। কঙ্কালসার একটা স্ত্রীলােক, মাথায় লালচে চুলগুলাে জট বাঁধা, চোখ কোথায় বসে গেছে বােঝাই যায় না। কান্নার চাপে মুখ তার এমন কুৎসিত রকম বিকৃত যে দেখতে ভয় করে।
হাত জোড় করে বললে সেই স্ত্রীলােক, ওগাে রাজপুত্র, আমার একটা ছেলে ছিলাে, তােমারই মত তার বয়স পাথরের খাদে কাজ করতে--একটাই ছেলে আমারঅসুখ তার, অসুখ—চার মাস ধরে, পড়ে আছে বিছানায়
সেনাপতি হুকুম দিলেন চালাও গাড়ি পুরােদমে, আর নয়।
ছুটলাে গাড়ি পুরােদমে, যেন পলক না-ফেলতে আবার এসে পড়লাে
রাজপ্রাসাদে।
প্রদীপ কুমার গাড়ি থেকে নামলেন আস্তে আস্তে শ্বেতপাথরের উজ্জ্বল সিঁড়ি বেয়ে উঠলেন প্রাসাদে, ঢুকলেন গিয়ে তার ঘরে। কারাে সঙ্গে একটা কথা
বললেন না।
রাজা বললেন, প্রদীপের মুখ ম্লান দেখছি কেন?
মন্ত্রী বললেন, রােদ লেগেছে, ক্লান্ত হয়েছেন। খানিক পড়ে তিনি গেলেন প্রদীপকুমারের ঘরে। রাজপুত্র জানালা দিয়ে বাইরে
তাকিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে। মন্ত্রী বললেন, রাজপুত্র, মরকতপুরের পুরনারীরা এসেছেন মাঙ্গলিক নিয়ে।
একবার তােমাকে একটু আসতে হবে। তাদের চলে যেতে বলুন।
রাজপুত্রের মুখের দিকে তাকিয়ে মন্ত্রীর কী মনে হ'ল, তিনি চলে গেলেন।
একটু পরে স্বয়ং আদিত্যবর্ণ সে ঘরে এসে ব্যস্তভাবে বললেন, প্রদীপ, এ কী শুনছি?
প্রদীপকুমার শান্তভাবে বললেন, 'বাবা, আজ আমার বিয়ে হবে না। এ কী কথা প্রদীপ।
না—না, হবে না। যতদিন আমার এই রাজ্যে একজন মানুষও কাদবে, ততদিন কোন উৎসবে কোনাে আনন্দে আমার অংশ নেই।
তােমরা আমাকে এতদিন ঠকিয়ে এসেছাে, আর ঠকাতে পারবে না। আজ আমি নিজের চোখে দেখেছি, নিজের কানে শুনেছি। বন্ধ করে দাও সমস্ত উৎসব, ফিরিয়ে দাও মরকতপুরের উপটৌকন
যতদিন আমার রাজ্যে কেউ কাদবে ততদিন রাজপুত্র যেন আমাকে কেউ না বলে। প্রাসাদ ভবনে পান্না-বসানাে জানলায় ভােরের সূর্য ঠিকরে পড়েছে, শঙ্খের কাজ করা দেওয়ালে জ্বলে উঠেছে হাজার ছােট ছােট রামধনু।
সেই দিকে তাকিয়ে
প্রদীপকুমার বললেন, বিষাণ, এটা তােমাকে করতে হবে।
শিউরে উঠে বিষাণনাথ বললেন, না না, প্রদীপ। তােমার জন্য আমি সব রাজপুত্র বললেন, 'বিষাণ, ছেলেবেলা থেকে আমরা একসঙ্গে খেলেছি, পড়েছি, বেড়িয়েছি।
তােমার মতাে বন্ধু আমার কেউ নেই। তাছাড়া তােমার সঙ্গে আমার চেহারার মিলও আশ্চর্য! রাত্রির তৃতীয় প্রহরে বিবাহের লগ্ন।
পারি, কিন্তু এ আমি কিছুতেই পারবাে না।
কিন্তু তারপর? কিছু ভয় নেই। তুমি আমার চেয়ে অযোগ্য কিসে? অগ্নিদ্বীপ আর মরকতপুর
তােমাকে নিয়েই ধন্য হবে।
মনে-মনে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে বিষাণনাথ বলেন, আর তুমি? আমি মানুষের কান্না শুনেছি, মানুষের কান্না আমি থামাবো।
প্রদীপকুমার বিষাণনাথের হাত ধরে বললেন, পারবে না বন্ধু ?
ক্ষণেক ইতস্ততঃ করে বিষাণনাথ বললেন, পারবে।
সন্ধ্যার পরে রাজপুত্র প্রদীপকুমার একা চলেছেন পথ দিয়ে হেঁটে। পরনে তার সাধারণ পােষাক, লক্ষ প্রদীপ জুলে উঠেছে নগরে, পথে হাজার হাজার মেয়ে পুরুষের ভিড়। তাদের মুখে চোখে একটা লােলুপ স্ফুর্তি, এক মাস ধরে তারা পেট ভরে খাবে।
উজ্জ্বল আলােয় ভিড় ঠেলে চলেছেন রাজপুত্র; কেউ তাঁকে চিনছে না। আমার কোনাে পরিচয় নেই’, রাজপুত্র ম মনে বললেন, আমার রাজবেশই আমার পরিচয়।
গেলেন তিনি বকুল-কুঞ্জ ছাড়িয়ে দিলেন তিনি গরিবদের পাড়ায়।
বেশিরভাগ বাড়িই অন্ধকার, সবাই গেছে রাজবাড়ির উৎসবে। অন্ধকার গলিতে ঘুরতে-ঘুরতে হঠাৎ তার চোখে পড়লাে, ছােট্ট একটি মেয়ে
রাস্তার উপরেই বসে পড়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদছে।
নিচু হয়ে তার গায়ে হাত দিতেই সে চমকে তাকালাে, তারপর এক নিঃশ্বাসে তার কান্না থামিয়ে হাসবার
চেষ্টায় মুখখানা তার বীভৎস হয়ে উঠলাে। ওগো আমায় মেরো না, আর কাদবাে না আমি।
তোমাকে আমি মারবাে কেন?
জানাে না', মেয়েটি ফিসফিস করে বললে, আমাদের রাজার হুকুম হয়েছে, আজ থেকে এক মাসের মধ্যে এই রাজ্যে যে কাদবে তার আর রক্ষে নেই। কে আমাকে নিয়ে যাবে? আমার মা নেই, এক শ্রেষ্ঠীর বাড়িতে দাসীর কাজ
করি।
ওরা সবাই গেলাে, আমি যেতে চেয়েছিলুম-ওরা বললে, “ইস্, খোঁড়ার
আস্পর্ধা দ্যাখ। উনি যাবেন।" নিয়ে গেলে না আমাকে।
রাজপুত্র বললেন, এখানে একজন বুড়ি থাকে, তার ছেলের খুব অসুখ, চেনাে তাকে?
কত বুড়িই তাে আছে, কত লােকেরই অসুখ, কার কথা বলছাে? পাথরের খাদে কাজ করতাে ছেলে-
ও আমাদের ভাসালার কথা বলছাে? ও তো আজ সকালে মরে গেছে, মা’টা গেছে পাগল হয়ে।
একটা কাজ করবে তুমি? এই থলিটা দিয়ে এসাে ভোঁসালার মাকে, পারবে না?
খুব পারবে। কী আছে এই থলিতে?
সোনা।
সোনা! এত সােনা ওকে দিচ্ছ?
এ সমস্ত সােনাই ওর। ওর পাওনা ছিল আমার কাছে।
তুমি—তুমি কে? আমি তােমাদের রাজপুত্র।
খিলখিল করে হেসে উঠলাে মেয়েটা।ওঃ তােমার সাহস তো দেখছি কম না
?
কম
নয়! আমাদের রাজপুত্রের কানে একথা গেলে তােমার হয় তাে ফাসিই হয়ে যাবে। যাও দিয়ে এসাে। আমি এখানে দাঁড়াচ্ছি।
খানিক পরে মেয়েটা ফিরে এলাে—ও নিলে না, ছুঁড়ে ফেলে দিলে। হ হী
করে হাসছে এমন ভয় করছিলাে আমার। একেবারে পাগল হয়ে গেছে। রাস্তার উপরে জোয়ান কয়েকটা পুরুষ মানুষ উবু-হাঁটু হয়ে বসে। ঘরের দরজায় দু'একজন স্ত্রীলােক ছায়ার মতাে দাঁড়িয়ে।
রাজপুত্রকে আসতে দেখেই একজন ফিসফিস করে বললে, ঘরে, আসছে গুপ্তচর।
রাজপুত্র তাদের কাছে এসে বললেন,আজ এই উৎসবের দিনে তােমরা এখানে
বসে কী করছে?
একজন মােটা গলায় বললে, 'দুই মাস না খেয়ে আছি, আরো এক মাস না
খেয়ে থাকতে পারবে।
কী হয়েছে তােমাদের।
ব্যাঘ্রবনের ভিতর দিয়ে রাস্তা খোঁড়বার কাজ ছিল আমাদের। সাতজনকে বাঘে খেয়েছে। তাদের স্ত্রী-পুত্রদের আমরাই খাওয়াতে পারতুম। কাজ থাকলেই আমরা খুশী, কাজটা যাই হোক। এখন রাজপুত্রের বিবাহ অনেক খরচ হচ্ছে কিনা তাই ঐ রাস্তা খোঁড়ার কাজ দুমাস আগে থেকে বন্ধ হয়ে গেছে।
তার উপর আমাদের প্রত্যেকের উপর কর বসানাে হয়েছে—মরিয়া হয়ে তাও দিয়েছি, নয়তাে মারধাের
করে। কিন্তু রাজবাড়ির নেমন্তন্নে যেতে পারবাে না... কেন, রাজার কিসের অভাব যে তােমাদের কাছে হাত পেতেছেন, রাজপুত্রের
বিয়ের খরচের জন্য?
হাে-হাে করে হেসে উঠলাে লােকগুলােকোথাকার লােক হে তুমি? রাজার এত ঐশ্বর্য এদের কাছ থেকে নিয়ে! কই, আমাকে, তো কেউ কোনােদিন সে-কথা বলে নি।
তারপর ওদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, শোনো, এই নাও তােমরা; এর মধ্যে সােনা আছে। এই নাও, এই নাও।
রাশি রাশি সােনা বার করে ওদের মধ্যে ছড়িয়ে দিলেন তিনি।
লােকগুলাে হকচকিয়ে গিয়ে বললে, কে তুমি? এত মােহর কোথায় পেলে?
আমি তােমাদের রাজপুত্র।
বিকট অট্টহাস্য করে উঠলাে লােকগুলাে। একজন প্রচন্ড আওয়াজে বলে উঠলাে, 'চালাকি পেয়েছে তুমি? আমাদের রাজপুত্র সেজে ঠকাতে এসেছে আমাদের? কোথায় পেলে এত মােহর শিগগির বলাে! এ সমস্তই রাজকোষের। আমি তােমাদের রাজপুত্র!
মােটা একটা জোয়ান লােক খপ করে রাজপুত্রের হাত ধরে ফেললাে। রাজপুত্র বললে, "উঃ হাত ছাড়াে। জোচ্চর! ঠগ! শয়তান! বলাে কি চুরি করেছে রাজকোষ থেকে?” রাজপুত্র বললেন, চুরি আমি করেছিলাম, এইবার ফিরিয়ে দিতে এসেছি। একজন বললে, হাঃ-হাঃ! উনি রাজপুত্র। পাগল! ছেড়ে দে ওকে দুটো
ঘুষি দিয়ে। ছােট মেয়েটি বললে, আহাওকে মেরাে না, বড় ভালাে।
কিন্তু তার আগেই রাজপুত্রের নাকের উপর এক প্রচন্ড ঘুষি পড়েছে। দরদর করে রক্ত পড়তে লাগলাে মুখ বেয়ে। মেয়েটা হাউ-মাউ করে কেঁদে উঠলাে। চারদিক থেকে একটা কলরােল উঠলাে, চোর, চোর! মার বাবা, মার!
মেরে পুঁতে ফ্যা। ছােট্ট মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে বললে, মেরো না মেরাে না ওকে। কিন্তু কে
তখন ওর কথা শােনে।
মেয়েটা ওদের পায়ে লুটিয়ে বললে, মেরাে না ওকে, কিন্তু চার পাঁচজন জোয়ান ওকে পায়ের নিচে মাড়িয়ে এগিয়ে গেলাে ঘুষি উচিয়ে। মার খেতে খেতে রাজপুত্র মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন।
খানিক পড়ে সব ঘরের দরজা বন্ধ হয়ে গেলাে, চারদিক চুপচাপ ছমছমে অন্ধকার! দূর থেকে হাওয়ায় ভেসে আসছে প্রাসাদের উৎসবের শব্দ।
শেষরাত্রে শুভলগ্নে বিয়ে হয়ে গেলাে। বিয়ের সময় বংশের নিয়ম অনুসারে রাজপুত্রের মুখ-পাতলা সোনার কাপড়ে ঢাকা রইলাে।
রাত্রির শেষ প্রহরে নগরের পথে-পথে প্রহরী বেলা। হঠাৎ একটা অন্ধকার গলিতে তাদের একজন দেখলে, একটা লােক রাস্ত র উপর পড়ে রয়েছে, রক্ত পড়ে তার গায়ে কালাে হয়ে জমে আছে, মাথাটা অনেক জায়গায় কাটা।
আর তার পাশেই ছােট্ট খোঁড়া মেয়ে থেতলে চেপ্টে মরে অছ।
কী মুস্কিল! এই ভিখিরিগুলাে যখন-তখন যেখানে-সেখানে মরে পাড়ে থাকে।
ক্লান্ত বিরক্ত স্বরে প্রহরী বললে কি করি এখন? কালরাত্রে এরা নিজেদের মধ্যেই মারামারি করে মরেছে।
আর কি—হঠাৎ অত খাওয়া-দাওয়ার ধূমধাম এদের সইবে কেন?
প্রহরীদের হুকুমে চারজন ডােম এসে রাজপুত্র প্রদীপকুমারকে আর সেই ছােট্ট মেয়েকে নিয়ে গেলাে। ভাসিয়ে এলো নদীর জলে।
No comments:
Post a Comment